
"২৭ বছর পরে ফিরে দেখা — ঐক্য ও স্মৃতির মিলনমেলা গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ-এর ১৯৯৮ সালের এইচ.এস.সি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ৯ জুন ২০২৫ তারিখে কলেজ প্রাঙ্গণে অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৭ বছর আগে কলেজ জীবনের সেই সোনালি দিনগুলোকে স্মরণ করতে এবং বন্ধুত্ব ও ভালবাসার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিদেশ থেকেও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছেন এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করতে।
১৯৯৮ ব্যাচের আহ্বায়ক, কলেজ গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য জনাব মাহবুব আলম-এর সভাপতিত্বে কার্যক্রম শুরু হয়। পুরো কার্যক্রম পরিচালনায় ছিলেন ব্যাচের সদস্য সচিব নাহিদুজ্জামান সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহীন সরকার, ইন্সপেক্টর আহসানউল্লাহ ও ইন্সপেক্টর নূরে আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুনজুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ জনাব মুনির হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ জনাব আবুল খায়ের ডিলন এবং ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব শাহ আলম ভুঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল: প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রাক্তন শিক্ষকদের সংবর্ধনা, মধ্যাহ্নভোজ, প্রয়াত বন্ধুদের স্মরণে দোয়া মাহফিল, পুরস্কার বিতরণ এবং ব্যাচ প্রতিনিধিদের বক্তব্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যালি, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং ১৯৯৮ ব্যাচের প্রয়াত তিন বন্ধুর মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আহ্বায়ক জনাব মাহবুব আলম স্বাগত বক্তব্যে কলেজের গৌরবময় ইতিহাস ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের নৈতিকতা, সৃজনশীলতা ও বন্ধনের প্রতীক। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আজ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে কলেজের গৌরব বৃদ্ধি করছেন।
” আলোচনা পর্বে একে একে বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের স্মৃতিচারণে উঠে আসে কলেজ জীবনের আনন্দ, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রত্যয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ব্যাচের সদস্যরা ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জাসাস-এর সভাপতি হাসান জাহাঙ্গীর, ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন, এবং আরও অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী। দাউদকান্দি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও আয়োজনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান বাহলুল পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য উপস্থিত না থাকলেও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে এক হৃদয়গ্রাহী সমাপ্তি ঘটে। পুনর্মিলনীর এ মহতি আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের হৃদয়ে রেখে গেল অম্লান স্মৃতি, ভালোবাসা ও নতুন প্রতিজ্ঞার আলো।
পিকে/এসপি
২৭ বছর আগে কলেজ জীবনের সেই সোনালি দিনগুলোকে স্মরণ করতে এবং বন্ধুত্ব ও ভালবাসার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিদেশ থেকেও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছেন এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করতে।
১৯৯৮ ব্যাচের আহ্বায়ক, কলেজ গভর্নিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য জনাব মাহবুব আলম-এর সভাপতিত্বে কার্যক্রম শুরু হয়। পুরো কার্যক্রম পরিচালনায় ছিলেন ব্যাচের সদস্য সচিব নাহিদুজ্জামান সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহীন সরকার, ইন্সপেক্টর আহসানউল্লাহ ও ইন্সপেক্টর নূরে আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুনজুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ জনাব মুনির হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ জনাব আবুল খায়ের ডিলন এবং ভাইস প্রিন্সিপাল জনাব শাহ আলম ভুঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল: প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রাক্তন শিক্ষকদের সংবর্ধনা, মধ্যাহ্নভোজ, প্রয়াত বন্ধুদের স্মরণে দোয়া মাহফিল, পুরস্কার বিতরণ এবং ব্যাচ প্রতিনিধিদের বক্তব্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যালি, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং ১৯৯৮ ব্যাচের প্রয়াত তিন বন্ধুর মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আহ্বায়ক জনাব মাহবুব আলম স্বাগত বক্তব্যে কলেজের গৌরবময় ইতিহাস ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের নৈতিকতা, সৃজনশীলতা ও বন্ধনের প্রতীক। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আজ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে কলেজের গৌরব বৃদ্ধি করছেন।
” আলোচনা পর্বে একে একে বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের স্মৃতিচারণে উঠে আসে কলেজ জীবনের আনন্দ, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রত্যয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ব্যাচের সদস্যরা ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জাসাস-এর সভাপতি হাসান জাহাঙ্গীর, ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন, এবং আরও অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী। দাউদকান্দি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও আয়োজনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান বাহলুল পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য উপস্থিত না থাকলেও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে এক হৃদয়গ্রাহী সমাপ্তি ঘটে। পুনর্মিলনীর এ মহতি আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের হৃদয়ে রেখে গেল অম্লান স্মৃতি, ভালোবাসা ও নতুন প্রতিজ্ঞার আলো।
পিকে/এসপি