"গণমাধ্যম যেন ভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় না করে: নাভিদ নওরোজ শাহ্

আপলোড সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৩:৪৭:৩২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৩:৪৯:৪০ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের গতিমুখ শিরোনামে সম্প্রতি একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে বণিক বার্তা। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আয়োজিত ওই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন বিভিন্ন স্টাডি সার্কেলের মুখপাত্র, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ক্রিয়াশীল চিন্তকরা।

৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ উঠে আসে তাদের আলোচনায়। এছাড়া বাংলাদেশ কীভাবে ন্যাশন-বিল্ডিংয়ের চ্যালেঞ্জগুলো উতরে যেতে পারে সে রূপকল্পও সেখানে উঠে এসেছে। বণিক বার্তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন সাবিদিন ইব্রাহিম।

সেই সভায় বক্তব্য রাখেন, ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. শাহ মোহাম্মাদ সেলিম এর ছেলে নাভিদ নওরোজ শাহ্, স্পিক বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম যেন ভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় না করে প্রথমেই বলি, আগামীর বাংলাদেশে কোনো মিডিয়া যেন ভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টা না করে। উদাহরণস্বরূপ, গত ১০-১২ বছরে দেখেছি, কিছু গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের কেউ অপরাধ করলে তাকে দুর্বৃত্ত হিসেবে প্রচার করে আর বিএনপির কেউ অপরাধ করলে তাকে বিএনপি বলে প্রচার করে।

আমরা চাই দেশের মানুষ সত্যটা জানুক, সেটা বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা জামায়াত যে-ই হোক। ঘটনা যেটা সত্য, সেটাই যেন তারা প্রচার করে। কিংবা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও যেন শুধু শুধু ভারত বা অন্যান্য দেশকে দোষ দেয়া না হয় বা শত্রু বানানো না হয়। যেটা সত্য, সে ন্যারেটিভটাই যাতে প্রচার করা হয়। দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ের দিকে তাকালে আমরা দেখি যে এরই মধ্যে ২৪-এর ইতিহাস বিকৃতির বিভিন্ন চেষ্টা করা হচ্ছে।

আমরা সবাই কিন্তু যার যার জায়গা থেকে গণ- অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছি। আমাকে কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ ফোন দেয়নি বা কেন্দ্রীয় কোনো সমন্বয়কের সঙ্গে আমার কিন্তু কোনো যোগাযোগ ছিল না। আমি এবং আমার বন্ধুরা নিজ উদ্যোগে গিয়েছি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। এভাবেই সবাই আন্দোলন করেছে, শুধু ছাত্ররা।

এ আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে যখন সব পর্যায়ের চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেছে। এখানে কিন্তু সবারই একটা গল্প আছে। যে দলই ক্ষমতায় আসুক আমরা '৭১-এর নতুন ইতিহাস দেখেছি। আমরা জানি না যে '৭১-এ কী হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করব '২৪-এর ইতিহাসটাকে যেন সংরক্ষণ করা হয় এবং যে যার জায়গা থেকে যেভাবে অংশগ্রহণ করেছি, সেটাই যেন আমরা প্রচার করি।

আরেকটা বিষয়, গত ১০-১৫ বছরে ধর্মনিরপেক্ষতার নাম দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ধর্মবিদ্বেষকে প্রচার করা হয়েছে। আমরা কেউ ধর্মবিদ্বেষী হতে চাই না। যে যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন ।

আমাদের দেশে সংখ্যাগুরু নাম দিয়ে গত ১০-১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে দাড়ি-টুপিওয়ালা মানুষগুলো। আমরা এর বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই। আবার নতুন বাংলাদেশে অনেকেই নিজেকে নিরাপদ মনে করছে না। এটা যেন না হয়। আমাদের সবার কথা শুনতে হবে। সবাই মিলেই বাংলাদেশ।

পিকে/এসপি

সম্পাদকীয় :

প্রধান সম্পাদক : মোঃ মাকসুদেল হোসেন খান

সম্পাদক : মো. শরীফুল ইসলাম (শরীফ প্রধান)

যোগাযোগ : 01675785122

ই-মেইল : [email protected]

অফিস :

ঢাকা অফিস : হাউজ#৬, রোড#০৩, ব্লক#জে, বারিধারা ঢাকা-১২২৯।

কুমিল্লা অফিস : কদমতলী সুপার মার্কেট (ভূমি অফিস সংলগ্ন), বলদাখাল রোড, দাউদকান্দি পৌর বাজার, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।

ওয়েবসাইট : www.prodhankhabor.com